সকল প্রবাসী ভাইরা নিউজটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন এবং বুঝার চেষ্টা করুন আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং উপদেশ মূলক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে বিষয়গুলোই আপনারা গুরুত্ব সহকারে আশাকরি নেবেন.
যারা বর্তমানে প্রবাসে আছেন ও যেই প্রবাসীরা বর্তমানে দেশে আছেন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নিউজ। বিস্তারিত
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ন অফিশিয়ালি ভাবে তারা সকল প্রবাসীদের উদ্দেশ্য একটি তথ্য শেয়ার করেছেন.
অনেক সময় দেখা যায় যে দেশ থেকে প্রবাসীরা বিভিন্ন বিভিন্ন দেশে যায় কার্জ / কর্ম / চাকরি করার উদ্দেশ্য দেশ গুলোতে পাড়ি জমান, তাদের একটাই উদ্দেশ্যে নিজের পরিবার ফ্যামিলির সবাইকে ভালো রাখার জন্য যাতে করে বেশি ইনকাম করা যায় সে উদ্দেশ্যেই প্রবাসে পাড়ি জমান এ সকল প্রবাসী ভাইয়েরা.
এক সময় দেখা যায় প্রবাসীদের প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করে দেশে ফ্যামিলি দের জন্য পাঠায় নিজের স্ত্রীকে বিশ্বাস করে স্ত্রীর একটা একাউন্ট করে সেখানে টাকা পাঠায় ফ্যামিলি যখন দরকার হয় তখন সেখান থেকে তুলে ব্যবহার করা হয় বাকি টাকা তার স্ত্রীর একাউন্টেই থাকে কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় সে টাকাগুলো আসে আর পাওয়া যায় না না (অবশ্যই সবার ক্ষেত্রে এটি হয় না).
উদাহরণস্বরূপ একটি বিষয় তারা বলেছেন যে
কিছুদিন আগেও দেখা গিয়েছে একজন প্রবাসী ভাইয়ের সৌদি আরব থেকে ফেসবুকে লাইভে এসেছেন এবং তিনি তাঁর স্ত্রীর কিছু কথা বলেন তাকে বিশ্বাস করে সেখান থেকে অনেক টাকা পাঠানো হয়েছে স্ত্রীর একাউন্টে কখনো তাকে অবিশ্বাস করো নাই সব সময় বিশ্বাস করতেন নিজের স্ত্রীকে (এটাই স্বাভাবিক) কিন্তু তার স্ত্রী তার সেই বিশ্বাসের মর্যাদাটুকু রাকতে পারে নাই তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে চলে গিয়েছে অন্য একজন পরপুরুষের সাথে, এসব সহ্য করতে না পেরে ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি কিছু কথা বলেই আত্মহত্যা করেন.
এই সকল বিষয়গুলো থেকে বাঁচার জন্য প্রবাসীকল্যাণ বাংলাদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে তিনটি বিষয় গুরুত্বসহকারে দেখে প্রবাসে আসার আগে এই তিনটি বিষয় সম্পন্ন করার জন্য বলা হয়েছে
একক বাবে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
একাউন্ট করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন এটি যেন ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে
আপনি যে একাউন্ট করবেন সেটি যেন অবশ্যই মোবাইল ব্যাংকিং (এপ দিয়ে কন্ট্রোল) এর সুবিধা থাকে সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন
প্রবাসীদের জন্য কেনো এটা প্রয়োজন..?
Note: কেস স্টাডি-০১
উদাহরণস্বরূপ দেখানো হয়েছে, আব্দুর রহমান নামে একজন প্রবাসী দুবাই থাকেন প্রায় 10 বছর ধরে,
ভালোবাবে বেঁচে থাকা তার ফ্যামিলি স্ত্রী বাচ্চাদের ভরন পষোণের জন্য এবং তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি নিয়মিত তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠান (যেটা সবাই স্বাভাবিকভাবে পাঠায়) তিনি টাকা পাঠাতেন (ওয়েস্ট ইউনিয়ন- Westen Union, মানিগ্রাম- Money Gram) ভোটার আইডি কার্ডের যে গোপন নাম্বারটি রয়েছে তার সাহায্যে, পরবর্তীতে তিনি যখন দুবাই থেকে দেশে আসেন এসে তিনি দেখেন তার কোন টাকা পয়সা নেই এবং কি তার বউ ও নেই অন্য জনের সাথে চলে গিয়েছে.
এরকম অনেক পোষ্ট আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখে থাকি যে অমুকের কাছে টাকা পাঠিয়ে এভাবে সর্বহারা হয়েছেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে সকল প্রবাসী যায় বেশিরভাগ সময় তারা তাদের স্ত্রীর উপর দোষ দিয়ে থাকেন এক্ষেত্রে আপনি তাদেরকে বিশ্বাস করাটা আপনার ভুল না কিন্তু তারাই আপনার বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে পারে নাই.
তাই এ সকল আমি থেকে বাঁচার জন্য আপনি আপনার নিজের নামে একটি একক ভাবে একাউন্ট করে যাবেন যেটি কিনা মোবাইল ব্যাংকিং এবং অ্যাপস এর সাহায্যে ব্যবহার করা যায় এবং সকল সিস্টেম চালু রাখবেন যখন আপনার সংসারে কারো প্রয়োজন হবে মা-বাবা-ভাই-বোন নিজের স্ত্রী আত্মীয়স্বজনদের টাকার প্রয়োজন হলে তখন আপনি নিজেই আপনার একাউন্ট থেকে তাদের একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিতে পারবেন বাকি টাকাটা আপনাদের একাউন্টে থেকে যাবে.
একটি উদাহরণ দেখানো হলো:
মোহাম্মদ ওমর ফারুক একজন ওমান প্রবাসী তিনি সেখানে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা মত বেতন পান এবং তিনি একটি একাউন্ট করেছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এবং (সেই ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং সহ সকল সুবিধা রয়েছে)
ওমানের থাকার জন্য ১০ হাজার টাকা নিজের হাত খরচের জন্য রাখেন এবং বাকি যে ২৫ হাজার টাকা রয়েছে সে টাকা গুলো তিনি তার নিজের একাউন্ট রেমিটেন্সে পাঠিয়ে জমা করে রাখেন.
পরবর্তীতে তাদের ফ্যামিলি সংসদের জন্য যখন টাকার প্রয়োজন হয় সংসারের খরচের জন্য তিনি তার স্ত্রী একাউন্টে ("সোনালী ব্যাংকে") থাকা একটি একাউন্ট এর ভিতর ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন, এবং তাদের ব্যাংক একাউন্টে অবশিষ্ট টাকা রয়েগেলো ১০ হাজার, এবং এর ১৫ দিন পর তার ফ্যামিলির ছোট ভাইয়ের জন্য টাকার প্রয়োজন হয় একটি সাইকেল কেনার জন্য এবং সেই সময় তিনি তার ছোট ভাইয়ের ("ডাচ বাংলা ব্যাংকে") একাউন্ট থাকা সে অ্যাকাউন্টে ৩ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে দিল, এবং যে বাকি ৭ হাজার টাকা রয়েছে সে বাকি ৭ হাজার টাকা তার নিজের একাউন্টে রয়ে গেল.
এভাবেই তিনি সব সময় তার ফ্যামিলির খরচের জন্য যার যতটুকু প্রয়োজন তাকে ততটুকু দিয়ে বাকি টাকা গুলো তিনি তাঁর নিজের একাউন্ট রাখেন কোন সমস্যা ছাড়াই তবে আপনি ফ্যামিলির সবাইকে বিশ্বাস করতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে কখনোই বাধা দেওয়া হবে না তবে আপনি এই জিনিস গুলো করে রাখলে পরবর্তীতে সমস্যা হবে না বলে আশা করা যায়.
এই বিষয়টি কারা বেশি গুরুত্ব দিবে:
এ বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কিনে নতুন বিয়ে করেছেন এবং এর ফলে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন নিজের ফ্যামিলি বউ বাচ্চার ভরণপোষণ তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে,
যারা নতুন বিয়ে করে প্রবাসে এসেছেন তাদের ক্ষেত্রেই এটি বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে কারণ যখন আপনি নতুন বিয়ে করেন তখন আপনার স্ত্রীকে বুজতেই আপনার কয়েক বছর লেগে যায় দেখা যায় অনেকজনই আছেন বিয়ের ০৫ থেকে ০৮ মাসের ভিতরে প্রবাসে পাড়ি জমান এবং তার স্ত্রীকে পরিপূর্ণ ভাবে বুঝা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠেনি তাই আপনারা যারা এলেবেলে রয়েছেন তারা সবসময় উপরেই বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখবেন ধন্যবাদ
সকল প্রবাসী ভাইদেরকে সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় তোকে আনন্দতে কাটুন সবসময় আমাদের সাইট ভিজিট করুন প্রবাসীদের সকল নিউজ পাওয়ার জন্য এবং আপনি আপনার ব্রাউজারে আমাদের সাইট লিঙ্ক এড করে রাখতে পারো যেকোনো সময় যাতে করে আপনি আপনার ব্রাউজার এ ঢুকে আমাদের সাইট এর নিউজ গুলো করতে পারেন..
ফেনি'তে থাই আমনে প্রবাসীর কষ্ট কেমনে বুঝবেন ভাই
ReplyDelete